নখের যত্ন
নখে অতিমাত্রায় প্রসাধনী ব্যবহার করলে উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে নখ ভেঙে যায়। এসিটোনসমৃদ্ধ প্রসাধনীর (নেইলপলিশ তুলে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়) মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নখকে ভঙ্গুর করে তোলে। তাই নেইলপলিশ যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। এ ছাড়া অনেকেরই দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকে, এটাও নখ ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণেও নখ ভাঙতে পারে। বারবার যাঁদের পানিতে হাত ভেজাতে হয়, তাঁদেরও নখ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব বেশি। আবার যাঁরা অতিরিক্ত তাপের মধ্যে কাজ করেন, অর্থাৎ নখে বারবার আগুনের তাপ লাগে, তাঁদেরও নখ ভাঙতে পারে।
প্রতিকার
- নখ ভালো রাখতে নিয়মিত সব ধরনের মৌসুমি শাকসবজি, ফল খেতে হবে। একেক রঙের সবজি ও ফলের মধ্যে একেক ধরনের পুষ্টি থাকে। শুধু নখ নয়, হাড়, দাঁত, চুল ত্বকের পুষ্টির জন্য সব রঙের শাকসবজি, ফল ভীষণ জরুরি।
- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কোনো ছত্রাকজনিত সংক্রমণ থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। নিয়মিত পানিতে কাজ করলে নখে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়ে থাকে। এ জন্য অতিরিক্ত হাত ধুতে হয় যাঁদের, তাঁদের হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
- দুধ, ডিম, পনির, মৌসুমি ফল, শাকসবজি, মাংস, সামুদ্রিক মাছ আর সূর্যের তাপে থাকে ভিটামিন ডি। রক্তে ভিটামিন ডির অভাবে নখ, চুল, হাড়, দাঁত দুর্বল হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে রোদে থাকতে হবে। কাজের জন্য বাসার বাইরে যাঁদের প্রতিদিন যেতে হয়, তাঁরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে অন্তত বাসার বারান্দা বা ছাদের রোদে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবেন। এতে সূর্যের আলো থেকে আসা ভিটামিন ডি নখের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে।
- গর্ভাবস্থায় ও শিশুকে খাওয়ানোর সময় অনেক নারীর শরীরে আয়রন, আয়োডিনসহ বহুবিধ খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা যায়। এই ঘাটতির জন্যও নখ ভেঙে যায়। গর্ভাবস্থার শুরু থেকে সন্তান বড় হওয়া পর্যন্ত একজন নারীকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
- নিয়ম মেনে ডায়েট না করে হঠাৎ খাওয়া কমিয়ে দিলে পুরো দেহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ধীরে ধীরে খাবার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
- হঠাৎ নখের কোনো অংশে হলুদাভ, কালচে দাগ দেখা দিলে এবং মাংসপেশি থেকে নখ উঠে যেতে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জেনে রাখুন
নারীদের পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ আর পুরুষদের পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশের পরে নখ, হাড়, দাঁত, চুল দুর্বল হতে শুরু করে। খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন পদ্ধতি ঠিক না থাকলে নখ, হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই নখের পুষ্টির জন্য আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
(সংগৃহীত)
editor's pick
latest video
news via inbox
Nulla turp dis cursus. Integer liberos euismod pretium faucibua