কেন জনপ্রিয় হাইড্রাফেসিয়াল

Last Updated: July 27, 2024By

ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে লাবণ্যময়ী করে তুলতে ফেসিয়ালের তুলনা নেই। অনেকে ঘরে বসে চন্দন, হলুদ, শসা, বেসন ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে প্যাক তৈরি করে ফেসিয়াল করে থাকেন। অনেকেই আবার পারলারে গিয়ে দক্ষ হাতে ফেসিয়াল করাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফেসিয়াল করার হাজারো কার্যকর পন্থা রয়েছে। নতুনত্ব আনতে এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ফেসিয়ালে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন আধুনিকতা। তেমনি একধরনের ফেসিয়ালের নাম হাইড্রাফেসিয়াল। তবে হঠাৎই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা রূপচর্চার এই পদ্ধতি সব ধরনের ত্বকে উপকার বয়ে আনবে কি? কেন, কখন এবং কীভাবে করা হয় হাইড্রাফেসিয়াল?

যেভাবে করা হয় হাইড্রাফেসিয়াল

দক্ষ হাত ও আধুনিক যন্ত্রের মিশ্রণে করা হয় হাইড্রাফেসিয়াল। এই ফেসিয়ালে ভরটেক্স প্রযুক্তির যন্ত্র হাইড্রা মেশিন ব্যবহার করা হয়। ভ্যাকিউম ক্লিনারের মতো এটি কাজ করে। ঘণ্টায় এটি ১০০ কিলোমিটারের বেশি বাতাস প্রবাহ করতে পারে। এটি ত্বকের ময়লা ভ্যাকিউম ক্লিনারের মতো টেনে ফেলতে সক্ষম, ‘হাইড্রাফেসিয়ালে মেশিন থেকে শুরু করে যা যা জিনিস ব্যবহৃত হয়, সবই আসে দেশের বাইরে থেকে।’ হাতের ব্যবহার থাকলেও ফেসিয়ালের মূল কাজ হাইড্রা মেশিনই করে। ত্বকের ওপর লোমকূপের ভেতর থেকে ময়লা শুষে নিতে সক্ষম এই মেশিন। ৯ থেকে ১০ ধাপে সম্পন্ন হয় এই ফেসিয়াল।

যে ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক, যা সহজে ময়লা হয় এবং ব্রণ আছে-এমন ত্বকের জন্য হাইড্রাফেসিয়াল বেশ কার্যকার।

হাইড্রাফেসিয়ালের উপকারিতা

ব্রণের প্রবণতা কমাতে এই ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ব্রণ ছাড়াও মুখের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসও কমাতে পারে হাইড্রাফেসিয়াল। এটি মূলত ত্বককে হাইড্রেট করে। অর্থাৎ, শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়।

কতক্ষণ লাগে

অন্যান্য ফেসিয়াল আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টায় করা গেলেও হাইড্রাফেসিয়াল করতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা।

সতর্কতা

হাইড্রাফেসিয়ালের তেমন কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। যেকোনো ত্বকেই এই ফেসিয়াল করা যাবে। তবে যে ত্বকে যেমন ফেসিয়াল প্রয়োজন, তা বুঝে ফেসিয়াল করালে কাঙ্ক্ষিত উপকার পাওয়া সম্ভব।

(সংগৃহীত)

 

editor's pick

latest video

news via inbox

Nulla turp dis cursus. Integer liberos  euismod pretium faucibua

Leave A Comment