অলিভ ওয়েল ব্যবহারের কিছু উপকারিতা

Last Updated: July 27, 2024By

অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের নিয়মিত যত্নে তেলটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। নানান ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এই তেল আমাদের মুখে বয়সের ছাপ দূর করতেও কাজ করে।

ত্বকে অলিভ ওয়েল ব্যবহারের কিছু উপকারিতাঃ

ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা

আমাদের ত্বকে পানির পরিমাণ কমে গেলে ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করে। নিয়মিত অলিভ ওয়েলের ব্যবহার এই ঘাটতির আশঙ্কা দূর করে। প্রচুর ভিটামিন এ ও ই-এর পাশাপাশি এই তেলে ভিটামিন ডি ও কে থাকে, যা ত্বকের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশকেও সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়। তাই এটিকে সরাসরি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বা ক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু ঠিক করতে

কনুই বা হাঁটুর ছিলে যাওয়া চামড়া অথবা কোনো হালকা আঘাতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি মুখের ব্রণ রোধেও ভূমিকা রাখে এটি। ব্রণের জন্য দায়ী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টিতে বাধা দেয় তেলটির বিভিন্ন উপাদান। রোজাসিয়া ও সোরিয়াসিসের মতো রোগগুলোকেও বেশি বাড়তে দেয় না এটি।

মুখের সজীবতায়

আমাদের ত্বকের অন্যতম উপাদান কোলাজেনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে অলিভ ওয়েল। তাছাড়া এতে থাকা অলিক এসিড ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে, মুখের ত্বককে করে তোলে আরও নরম, এনে দেয় মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।

বয়সের ছাপ দূর করতে

সময়ের সঙ্গে মুখে-শরীরে বয়সের ছাপ পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তার সঙ্গে যদি যুক্ত হয় দূষিত পরিবেশ, মানসিক চাপ বা অন্য কোনো কারণ, তাহলে তো কথাই নেই। আর এর সমাধানেও আছে অলিভ ওয়েলে। এই তেলে পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা বয়স্ক হওয়ার জন্য দায়ী  ফ্রি রেডিকেল তৈরি হতে দেয় না। পাশাপাশি সূর্যের আলো থেকেও মুখকে সুরক্ষা দেয়।

ত্বক পরিষ্কার রাখতে

প্রতিনিয়তই আমাদের ত্বককে পরিষ্কার রাখতে হয়। অলিভ ওয়েল সেই নিয়মিত কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মুখ থেকে মেকআপ বা সানস্ক্রিন ক্রিম তোলার ক্ষেত্রে তেলটি কাজে দেবে। মেকআপ তোলার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী বাজারে পাওয়া গেলেও, এগুলোতে মুখের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অলিভ ওয়েল সরাসরি বা প্যাডে মেখে মুখে লাগালে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।

রান্নার কাজে ব্যবহারঃ

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাঙালি রান্নায় সর্ষের তেল ব্যবহার করে। ডিপ ফ্রাই, সতে কিংবা গ্রিলড রান্নাতেও তেলের প্রয়োজন পড়েই। কিন্তু সব কিছুতে সর্ষের তেল বা সাদা তেল দেওয়া যায় না। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে তেল ব্যবহার করলে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল।

তেল ছাড়া রান্না হয় না। ঝোল, ঝাল সবকিছুতেই তেল দরকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাঙালি রান্নায় সর্ষের তেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শরীরের জন্য ভাল কোন তেল, জানেন?

ভোজ্য তেলের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। তাছাড়া রান্না করতে খুব অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েলের প্রয়োজন পড়ে।

অলিভ অয়েলের মধ্যে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকর চর্বি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই অলিভে অয়েল খেলে আপনি সহজেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।

অলিভ অয়েলের স্মোকিং পয়েন্ট ২৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ উচ্চ তাপমাত্রায় অলিভ অয়েল গরম করলেও এটি ভেঙে যায় না এবং কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক উৎপন্ন করে না। সুতরাং, আপনি ডিপ ফ্রাই করতেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

আজকাল অতিরিক্ত তেলে তৈরি খাবার কেউই পছন্দ করেন না। বরং, তেলের পরিমাণ বেশি থাকলে খাবারের স্বাদ বদলে যায়। কিন্তু এটা অলিভ অয়েলের ক্ষেত্রে হয় না। রান্নায় খুব বেশি অলিভ অয়েলের প্রয়োজন পড়ে না। পাশাপাশি খাবারের স্বাদও বজায় থাকে।

অলিভ অয়েলের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রোগকে দূরে রাখে। অলিভ অয়েলের মধ্যে ভিটামিন ই ও পলিফেনল রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক প্রদাহ কমায়।

অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনায় অলিভ অয়েলের টেক্সচার খুব হালকা হয়। তাই অলিভ অয়েলে তৈরি খাবার খেলে হজমের কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগলে অলিভ অয়েলে তৈরি খাবার খেতে পারেন।

(সংগৃহীত)

 

editor's pick

latest video

news via inbox

Nulla turp dis cursus. Integer liberos  euismod pretium faucibua

Leave A Comment